সিত্রাং তাণ্ডব
২৬ অক্টোবর ২০২২, ০৪:০৭ পিএম | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২২, ০৪:০৯ পিএম
ক্ষত রেখে বাংলাদেশ ছেড়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণঝড়টি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের আসামের দিকে চলে গেছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জনপদ।
-
এখন পর্যন্ত সিত্রাংয়ের প্রভাবে ২৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গাছ চাপা, নৌকাডুবি ও জোয়ারের পানিতে ডুবে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এদিকে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বালু তোলার ড্রেজার ডুবে ৮ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
-
২৫ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে উপকূলীয় জেলার ৪১৯টি ইউনিয়নের ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে ৬ হাজার হেক্টর। এক হাজার মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
-
২৩ অক্টোবর সকাল থেকেই দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়। রংপুর বিভাগ ছাড়া মোটামুটি সারাদেশেই ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হয়। ২৪ অক্টোবর রাত ৯টায় ভোলার কাছ দিয়ে বরিশাল চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করে 'সিত্রাং' এবং পরবর্তী তিন থেকে চার ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়ে এটি দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল এবং উত্তর পূর্বাঞ্চল পেরিয়ে ভারতের দিকে চলে যায়।
-
ইতোমধ্যে সমুদ্রবন্দরগুলোতে জারি করা বিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
-
এদিকে সিত্রাং অতিবাহিত হওয়ার সময় রাজশাহী, সাতক্ষীরাসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলার আকাশ ভয়ানক লাল রূপ ধারণ করে। এতে আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে জনসাধারণ।
-