অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ: জয় দিয়ে শুরু বাঘিনীদের
১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:৪০ পিএম | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:৪০ পিএম
ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন বাংলাদেশের তরুণীরা। অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের প্রথম ম্যাচেই খেলতে নেমে করেছে বাজিমাত। অস্ট্রেলিয়ার মতো পরাশক্তিকে হারিয়ে যাত্রা করেছে শুরু।
-
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনিতে অনুষ্ঠিত আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের মেয়েরা ৭ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে ১৩০ রান করে। সেই রান বাংলাদেশ অতিক্রম করে ১৮ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩২ রান করে।
-
ব্যাটে-বলে জ্বলে উঠে অস্ট্রেলিয়াকে কুপোকাত করেন দিশা বিশ্বাসের সৈনিকেরা। বল হাতে প্রথমে ভূমিকা রাখেন দিশা বিশ্বাস ও মারুফা আক্তার। দিশা ২৫ ও মারুফা ২৯ রানে নেন ২টি করে উইকেট। রাবেয়া নেন ১টি উইকেট। পরে ব্যাট হাতে ভূমিকা রাখেন উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান দিলারা আক্তার ৪০, সুমাইয়া আক্তার অপরাজিত ৩১, আফিয়া ২৪ ও স্বর্ণা অপরাজিত ২৩ রান করে।
-
টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর অজিদের ইনিংসে শুরুতেই আঘাত হানেন দিশা। পরপর দুই ওভরে ফিরিয়ে দেন দুই ওপেনার কাটে পেল্লে (৫) ও প্যাারিস বাউডলারকে রকে (৭)। অজিরা শুরুর এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ক্লেইয়ার মোরি ও ইল্লা হাওয়ার্ডে ১৩.৩ ওভারে ৭৬ রান যোগ করলে। তবে তারা বড় জুটি গড়লেও তাদের আগ্রাসী হতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। জুটি ভাঙ্গে মোরে আউট হলে। তিনি ৫১ বলে ৭ চারে ৫২ রান করে রাবেয়া খানের বলে লিলি চাকমার হাতে ধরা পড়েন। জাতীয় দলের মারুফা একই ওভারে প্রথমে লুসি হ্যামিলটনকে (২), পরে ইল্লাকে ৩৯ বলে ৪ চারে ৩৫ রান করে ফিরিয়ে দেন। শেষ ২ ওভারে তারা ১৮ রান যোগ করেন। অ্যামি স্মিথ ৭ বলে ১টি করে চার ও ছক্কা মেরে ১৫ ও অধিনায়ক রাইস ম্যাককান্না ৬ বলে ২ চারে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
-
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ প্রথম বলেই উইকেট হারালে বিপদ দেখা দেয় দলের। ম্যাককান্নার বলে উইকটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে পেল্লের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মিষ্টি শাহা। কিন্তু শুরুর এই বিপর্যয় ঘনিভুত হতে দেননি। আফিয়া ওদিলারা। ওভার প্রতি ৬.৬ করে রান সংগ্রহ করে তারা যোগ করেন ৬৬ রান। এই জুটির রানই বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। দিলারা আক্তার ৪২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪০ রান করে আইনসওয়ার্থের বলে অ্যালেনের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেয়ার ৫ রান পর আফিয়াও ফিরে যান ২টি করে চার ও ছক্কা মেরে ২২ বলে ২৪ রান করে। তিনিও আউট হন দিলার মতো একই বোলারের বলে একই ফিল্ডারের হাতে। এ সময় বাংলাদেশের রান ছিল ১১ ওভারে ৩ উইকেটে ৭১। দিলারা ও আফিয়ার শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে জয়ের বাকি কাব্য রচনা করেন দুই আক্তার স্বর্ন ও সুমাইয়া। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৫৯ রান তারা যোগ করেন ৭ ওভারে। দুই জনেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। স্বর্ণা ১৮ বলে ১ ছক্কা ও ২ চারে ২৩ ও সুমাইয়া ২৫ বলে ৫ চারে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন। আইনসওয়ার্থ ৯ রানে নেন ২ উইকেট।